ঢাকা , শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫ , ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমরা দাসত্বের মধ্যে থাকতে চাই না -প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতরা যে কারও বাসায় যেতে পারেন-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সব ধরনের ক্রিকেট বর্জনের ঘোষণা ক্লাব সংগঠনের ফের মাঠে নামছে এনসিপি আরও কঠিন হচ্ছে আ’লীগের ফেরার পথ বিএনপি চায় সংসদে জামায়াত গণভোটে আমতলীত ও তালতলীতে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, জেলেদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে হাসপাতাল মর্গে বেওয়ারিশ লাশের স্তূপ যানজটে আটকা সড়ক উপদেষ্টা, ১২ কর্মকর্তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অফিস করার নির্দেশ রসায়নে নোবেল পেলেন ৩ বিজ্ঞানী গণভোটে নোট অব ডিসেন্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আহ্বান আলী রীয়াজের দৈনিক জনতার প্রকাশক ছৈয়দ এম আন্ওয়ার হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবাষির্কী আজ আজ হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ফিফার কমিটিতে বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল আমি আশাবাদী, আমরা ভালো করতে পারব : শমিত সিরিয়ার বিপক্ষে দারুণ জয় পেলো মেয়েরা ভারতের আম্পায়ারই কাল হলো বাংলাদেশের? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করেও জিততে পারলোনা বাঘিনীরা বাংলাদেশ সফরের জন্য টেস্ট দল ঘোষণা দিলো আয়ারল্যান্ড প্রথমবারের মতো মাদ্রাসা ক্রিকেট চালু করতে যাচ্ছে বিসিবি

২০টি ভয়ংকর জে-১০ যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

  • আপলোড সময় : ০৮-১০-২০২৫ ০৪:২৭:১৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-১০-২০২৫ ০৪:২৭:১৫ অপরাহ্ন
২০টি ভয়ংকর জে-১০ যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ
* আকাশে থেকে আকাশ ও আকাশ থেকে স্থল দুই ধরনের যুদ্ধেই সমান পারদর্শী * চীনের তৈরি যুদ্ধবিমান কিনতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭,০৬০ হাজার কোটি * প্রতিটি ফাইটার জেটের আনুমানিক মূল্য ধরা হয়েছে ৭৩০ কোটি টাকা * জে-১০ সিই সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী নতুন প্রযুক্তি * উন্নত প্রশিক্ষণ সুবিধা ও আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নতুন যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর (বিএএফ) আধুনিকীকরণ ও জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে চীনের তৈরি ২০টি জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭,০৬০ কোটি টাকা। সরকারি নথি অনুযায়ী, যুদ্ধবিমানগুলো কেনা, প্রশিক্ষণ, যন্ত্রাংশ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে ২০২৭ সালের মধ্যে। প্রকল্পের অর্থ পরিশোধ করা হবে ১০ বছরের কিস্তিতে, যা চলবে ২০৩৫-৩৬ অর্থবছর পর্যন্ত। জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান মূলত চীনের বিমানবাহিনীতে ব্যবহৃত জে-১০সি-এর রপ্তানি সংস্করণ। এটি একটি ৪.৫ প্রজন্মের মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট, যা আকাশে থেকে আকাশ ও আকাশ থেকে স্থল দুই ধরনের যুদ্ধেই সমান পারদর্শী। গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘাত চলাকালে পাকিস্তান দাবি করেছিল, তাদের জে-১০ সিই যুদ্ধবিমান ভারতের রাফায়েল জেট ভূপাতিত করেছে। যদিও সেই দাবি স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি, এরপর থেকেই জে-১০ সিই বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে। প্রতিটি ফাইটার জেটের আনুমানিক মূল্য ৬ কোটি মার্কিন ডলার (৭৩০ কোটি টাকা)। ২০টি জেটের মোট মূল্য হবে প্রায় ১২০ কোটি ডলার (১৪,৬০০ কোটি টাকা)। এর সঙ্গে প্রশিক্ষণ, যন্ত্রপাতি, ফ্রেইট কস্ট ও আনুষঙ্গিক ব্যয় যুক্ত হয়ে দাঁড়াবে আরও ৮২ কোটি ডলার। বিমা, ভ্যাট, কমিশন, অবকাঠামো উন্নয়ন ও অন্যান্য খরচসহ মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ২২০ কোটি ডলার। এই ক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে জিটুজি (গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট) পদ্ধতিতে চীনের সঙ্গে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে। এজন্য ১১ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিমানবাহিনীর প্রধান। এই কমিটি খসড়া চুক্তিপত্র যাচাইবাছাই, ক্রয়পদ্ধতির উপযোগিতা নির্ধারণ, মূল্য নির্ধারণ ও পরিশোধের শর্ত চূড়ান্ত করবে। একইসঙ্গে সংরক্ষণ ব্যবস্থা, প্রশিক্ষণ, খুচরা যন্ত্রাংশ ও রক্ষণাবেক্ষণ সুবিধা নিয়েও আলোচনা করবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গত মার্চের চীন সফরে এই যুদ্ধবিমান ক্রয় নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। চীনা কর্তৃপক্ষ তাতে ইতিবাচক সাড়া দেয়। এরপর এপ্রিল মাসে কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। ওয়ারপাওয়ারবাংলাদেশ ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর মোট এয়ারক্রাফট সংখ্যা ২১২টি, যার মধ্যে ৪৪টি ফাইটার জেট। এদের বেশিরভাগই চীনা তৈরি এফ-৭ মডেল। এছাড়া বাহিনীতে রয়েছে মিগ-২৯বি জেট, ইয়াক-১৩০ লাইট অ্যাটাক ট্রেইনার, এবং পরিবহন কাজে ব্যবহৃত সি-১৩০জে বিমান। হেলিকপ্টার ইউনিটে রয়েছে রাশিয়ান এমআই-১৭ ও এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার, যা সেনা পরিবহন ও গানশিপ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চীনের বাইই অ্যারোবেটিক টিম ২০০৯ সালে জে-১০এ মডেল অন্তর্ভুক্ত করে, যা ২০২৩ সালে আপগ্রেড হয়ে জে-১০সি তে রূপ নেয়। উন্নত রাডার, দীর্ঘ-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং আধুনিক এভিওনিক্সের কারণে এটি বর্তমানে চীনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান হিসেবে বিবেচিত। বিশ্লেষকদের মতে, জে-১০ সিই সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী নতুন প্রযুক্তি, উন্নত প্রশিক্ষণ সুবিধা এবং আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় নতুন যুগে প্রবেশ করবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স